আমাকেও ভুলে যাবে। (Alzheimer's)

- রুদ্র? রুদ্র...... (ঘুম থেকে ডেকে তোলা হচ্ছে তাকে)
- হুম বলো।
- উফফ ওঠো। কথা আছে।
- না, প্রতিদিনই উঠাও কিন্তু হাবিজাবি কথা বলে সময় পার করে দাও।
- ওহ আমি হাবিজাবি কথা বলি।

চোখ ঘষতে ঘষতে উঠে বসল রুদ্র।
- আমি বলিনি সব কথা তুমি উল্টা পাল্টা। কিন্তু তুমি আমাকে কেনো ডেকে তোলো সেটা আমি জানি। (মাথা নিচু করে রইল অন্তু )
অন্তুর উরুর ওপর নিজের মাথাটা রেখে রুদ্র বলল, তোমার কনফিডেন্স যেদিন আসবে সেদিন তুমি আমাকে বল।
- আমি তো চাই কিন্তু আমার অনেক ভয় হয়। আর তুমি তো কোন ডল না, তোমারও ইমোশন আছে। আমি যেদিন চাইব সেদিন তোমার জন্যও সম্ভব হবে এমন তো না।
- সত্যি একটা কথা বল তো?
- হ্যাঁ বলো?
- আমাদের বিয়ের ২মাস হয়েছে, আমরা এখনো কিছু করিনি। কারণ তুমি চাওনি। কিন্তু যখন তোমার ইচ্ছে হয় তখনও তুমি এভাবে avoid কর কেন?
- জানি না।
- তুমি বলেছো সত্যি বলবে।
- এটা কিভাবে বলবো আমি?
- তুমি যে কি লুকাচ্ছো আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।
- আচ্ছা আমাদের সম্পর্ক ছিল ৪বছর, রাইট? তারপর বিয়ে করেছি।
- হ্যাঁ।
- তুমি আমাকে অনেক ভালবাসো। আমিও বাসি।
- হুম।
- আমি ভয় পাই তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাও যদি।
- কেন আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাবো!! আমার তো কেউ নেই। তোমাকে ছেড়ে যাবটা কোথায়?
- দিদির সুইসাইডের কারণ তোমাকে কখনো বলিনি।
- আমি অনেকবার সেটা জিজ্ঞাসা করেছি। তুমি বলনি।
- দিদির একটা রোগ ছিলো। সে জন্য দাদাবাবু তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল। বিয়ের ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন মেয়ের বাপের বাড়িতে ফিরে আসতে হয় তাহলে তার অবস্থাটা ভাবো।
- কিন্তু দিদিকে কেন ছেড়ে চলে গিয়েছিল?
- তাদের প্রেমের বিয়ে ছিল। বৌভাতের ১দিন পর তারা হানিমুনে যায়, সেখানেই যা হবার হয়েছে।
- তো?
- দিদির vaginismus রোগ ছিল। প্রথমবার বুঝতে পারেনি। পরের কয়েকবারে সে বুঝতে পেরেছে তার জন্য বিষয়টা সম্ভব হচ্ছে না।
Click here
- এটা কি রোগ !
- সেটা তুমি নেটে দেখে নিও।
- অর্ধেক কথা বললে কিভাবে হবে? আর আমি এটা গুগল করবো?
- আচ্ছা Wait ।
( মোবাইলে সার্চ করে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলল রুদ্রকে)
অনেকক্ষণ ধরে বুঝতে চেষ্টা করল সে। তারপর সে অন্তুকে বলল, আমার ঘুম পাচ্ছে। কালকে সকালে একটু বের হতে হবে আমাকে।
অন্তুঃ কাল তো শুক্রবার। কাল তো অফিস নেই।
- হ্যাঁ, অন্য কাজ আছে। ঘুমিয়ে যাও।

আসলে রুদ্র ঘুমাচ্ছে না। তার মনে একটা ভয় ধরেছে। বিষয়টা Impotent হওয়ার চেয়েও ভয়ঙ্কর।
সে অনেকটা সময় ধরে ভাবতে থাকলো। ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে সে জানে না।
সকালে উঠে সে ফ্রেস হল। অন্তু তখন ঘুমাচ্ছে।
রুদ্র ভেবে নিয়েছে তাকে এসবটার একটা সমাধান বের করতে হবে। অন্তু ভাবছে হয়ত vaginismus  জেনেটিক ভাবে তার মাঝেও থাকতে পারে। তাই সে ভয় পাচ্ছে এগোতে। রুদ্র অন্তুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলল। দরজাটা লাগাতে হবে।
অন্তু হাই তুলতে তুলতে জিজ্ঞাসা করল, কোথায় যাচ্ছো?
- আসছি।
- কি রান্না করবো?
- যা তোমার ইচ্ছা করো।
( রুদ্র বুঝতে পারছে অন্তু তাকে আটকাতে এমন প্রশ্ন করছে, কি রান্না করবে সেটা কখনই তার জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন মনে হয়নি।)
সিড়ি থেকে আবার দরজায় ফিরে আসলো সে। অন্তুর কপালে একটা চুমু খেয়ে বলল, আমার আসতে একটু সময় লাগবে দুপুরে এসে একসাথে খাবো।

রুদ্রর যাবার পর অনেকটা সময় তার যাবার পথে চেয়ে রইল অন্তু। পেয়াজের ঝাঁজের চেয়ে বেশি কান্না আসে না রুদ্রার(অন্তুকে আদর করে রুদ্রা বলে ডাকে)।

দুপুর ১টায় কল আসলো।
- হ্যালো?
- হ্যালো কোথায় তুমি? সকাল থেকে তোমার খবর নেই। গিয়েছো তো গিয়েছো। তোমাকে কল দিয়েও পাইনি। ভয় লাগে না আমার? টেনশনে রান্নাটাও ঠিকভাবে করতে পারছি না।
- আইসক্রিম খাবে?
- আমি কি জিজ্ঞাসা করছি? তুমি কোথায় ? কখন আসবে?
- আমি এখন শাহবাগে। ৩০মি এর মধ্যে আসছি।
- আচ্ছা আসো।

২টা বেজে গেছে ফিরে আসতে। এসেই অন্তুকে জাপটে ধরলো।
- ছাড় নোংরা। ঘাম, ধুলাবালি সব নিয়ে এসে ধরেছে। যাও আগে স্নান করে আসো।
- জিজ্ঞাসা করবে না কোথায় গিয়েছিলাম।
- আগে স্নান করে খেয়ে নাও তারপর কথা হবে। আমার ক্ষুধা পেয়েছে।

বিকাল ৩টা, খাবার শেষ করে দুজনেই ছোট বারান্দাটাতে বসে আছে। বিকেলের বাতাস খুব একটা পাওয়া যায়না এই সময়টাতে। তবু ভালো লাগে বসে থাকতে।

- রুদ্রা?
- হুম ?
- তোমাকে আমি বলিনি আজকে কোথায় গিয়েছিলাম।
- আমি জানি আমাকে না বলে তোমার পেটের ভাত হজম হবে না। তোমাকে ফোর্স করার দরকার নেই তুমি এমনি বলবে।
- হুম।
- কি হুম, বলো।
- আমি ঋত্বিকার কাছে গিয়েছিলাম।
(ঋত্বিকা, রুদ্রর স্কুল ফ্রেন্ড। এখন gynecologist)
- ( দেয়ালে হেলে থাকা শরীরটা তুলে তাকালো তার দিকে) কেন?
- তুমি যে ভয়টা পাচ্ছো সেটার বিষয় আমি না জেনে কখনোই তোমার ভয় দূর করতে পারব না তাই ভাল করে জানতে গিয়েছিলাম।
- তুমি গিয়ে সব বলেছো ?
- সব বলতে, সব না।
- কি কি বলেছো শুনি? লজ্জা করে না তোমার? তুমি অন্য এক মেয়ের কাছে গিয়ে বলে বেড়াচ্ছো তোমার বউ তোমার সাথে সেক্স করে না।
- তোমার মাথা খারাপ আমি এসব বলবো। আর যদি বলতামও তাও তো একজন ডাক্তারকেই বলা হত তাই না?
- হ্যাঁ হয়েছে। ধুর।
- আচ্ছা শোনো না।
- না, মুড পুরো খারাপ করে দিয়েছো।

অনেকটা সময় লাগল অন্তুর রাগ ভাঙাতে, সাথে সে এটা নিশ্চিত করল যে রোগ তার বোনের ছিল সেটা কোন জেনেটিক সমস্যা না। তবুও যদি এটা নিয়ে বেশি ভয় থাকে তাহলে একবার ট্রাই করতে হবে নইলে কখনোই বোঝা সম্ভব না।

রাত বাড়ছে, রাতের খাবার সময়ও একটু নিশ্চুপ সময় পার হল দুজনেরই।

------------------------------------------------------------




অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে রুদ্র, হানিমুনে যাবে। বিয়ের সময় ১৫দিনের ছুটির পর হানিমুনের জন্য আবার ছুটি নিতে তার ইচ্ছে হয়নি। তাই এখন নিয়েছে। সেই রাতের পর ১মাস কেটে গেছে। ভাল কিছু পরিবর্তন এসেছে। সম্পর্কের নতুন মাত্রা এসেছে।

রাকিবঃ কি দাদা, হানিমুনে যাচ্ছেন শুনলাম।
(রাকিব, কলিগ)
রুদ্রঃ হ্যাঁ। ছুটি নিয়েছি শুনে আসলে ?
- হ্যাঁ, কোথায় যাচ্ছেন ?
- গাজীপুর।
- গাজীপুর !!! কেন?
- আপনার ভাবির ইচ্ছা। সেখানে একটা রেস্টরুমের ব্যবস্থা করেছে আপনার ভাবির বন্ধু।
- দেখার মত ভালো অনেক কিছু আছে মনে হচ্ছে?
- তা বলতে পারছি না।
- আমাকে জানবেন না আগে থেকে, আরো ভাল কোন জায়গা ব্যবস্থা করা যেত।
- বউয়ের ওপর কথা বলবে কে?
- (একটা কুটিল হাসি দিয়ে) হ্যাঁ সেটা একটা বড় ফ্যাক্ট। তারপর পুরো রাস্তা তাদের খোঁচা কে সহ্য করবে?
- তার মানে এমন ভুল করা হয়েছে।
- জ্বী। যান, ঘুরে আসুন। লাঞ্চ টাইম আমি গেলাম দাদা ক্যান্টিনে।
- হুম যান। আমিও আসছি।


নিরিবিলি জায়গাগুলো রুদ্রর নিজেরও অনেক পছন্দ। দুজনে মিলেই ঠিক করেছে যাবে। বাস জার্নিতে অন্তুর বমির অভ্যাস আছে। সেটা একটা বড় সমস্যা। কিন্তু হানিমুনের আনন্দে সব হয়ত ভুলে গেছে। নামার পর সে বুঝতে পেরেছে এটা তার জীবনে প্রথমবার ঘটল।
পৌঁছে সম্রাটকে কল করা হল, এই সেই বন্ধু যাকে দেখলেই আমার জ্বালা করত। কতবার যে সে রুদ্রর সামনে অন্তুকে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করেছে তার কোন হিসেব নেই। তারপরও এর সাহায্য নিতে হলো।

"আপনাকে কি সুবর্না সরকার (অন্তু) বলব নাকি মিসেস দেবাশিস বলব?" - সম্রাট বলল অন্তুকে।
"মজা করিস? থাপ্পড় ভুলে গেছিস মনে হয়।" - অন্তু।

- তো দাদা, আপনি কি ব্যাগ ট্যাগ নিতে পারবেন নাকি আমার সাহায্য লাগবে?
- না না, আমি নিতে পারব। তুমি রাস্তা মাপ। I mean, রাস্তা দেখাও।
- এভাবে বলছো কেন? -অন্তু
- আমি কি বললাম?
- দাদা, এখনো আপনার কি জ্বলে, Insecure বোধ করেন? - সম্রাট
- তাই মনে হচ্ছে। -অন্তু।
- (টপিক ঘুরানোর জন্য) আজকাল সম্রাট কি করছো? -রুদ্র
- আর কি করবো। ব্যাংক ডাকাতির কথা ভাবছি। প্রতিদিন যে টাকা ভল্টে যেতে দেখি তাতে ব্যাংক ডাকাতির কথা চিন্তা করা পাপ বলে মনে হয়না।
কথা চলতে থাকল, চলতে চলতে অটো করে চলে এলাম গেস্ট হাউজে।

সম্রাটঃ আচ্ছা অন্তু, আমি কিন্তু আগামী দুইদিন তোদের আহামরি খবর নিতে পারব না।
অন্তুঃ কেন? ব্যাংক ডাকাতি করতে যাবি?
- আরে ধুর। আমার একটা ট্রেইনিং আছে।
- তাহলে আমরা ঘুরবো কাকে নিয়ে?
- কেন নিজেরা নিজেরা।
ঘরে তুলে দিয়ে সম্রাটকে টেনে বাহিরে নিয়ে গেল অন্তু। কি একটা খুচুর খুচুর আলাপ করে ফিরে এলো।
তারপর সম্রাট এলাকার কিছু বিষয় বলে টলে, বিদায় নিলো।
রিসোর্টের বেপারটা ভালো লাগল, ৩বেলা খাবারটা, সুইমিংপুল ছাড়াও আলাদা পুকুর আছে, পাশেই বিশাল বন।

সময় খুব বেশি লাগেনি ঢাকা থেকে আসতে। তাই খুব ক্লান্তও না তারা। বিকেলে বের হল আসেপাশে ঘুরে বেরাতে। এখন তাদের সুবর্ন সময়।

২য় দিন ঘুরতে বের হল, কিছু পুরাতন নির্দশন দেখার জন্য। তাছাড়া আসেপাশে অনেক গ্রাম আছে, সুন্দর সুন্দর মসজিদ আছে। একদিনে সব দেখা যাবে না। কয়েকদিন ধরে দেখতে হবে। তাছাড়া ছবি তোলার বিষয় তো আছেই।
ফিরতে ফিরতে দুপুর ৩টা বেজে গেছে। ক্ষুধাও জেঁকে বসেছে পেটে।
খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো তারা।
তারপর অনেক অনেক গল্প, কেটে যায় সময়।
সন্ধ্যায় তারা গিয়ে সুইমিংপুলে নামলো। পানি প্রচন্ড ঠান্ডা, নিজেদের বুর্জুয়াশ্রনী ভাবার উপায় নেই।

৪দিন ভালোই কেটে গেলো তাদের। সম্রাট এরই মাঝে এসে গেছে ওর সাথেও আসেপাশে গ্রামের প্রকৃতি দেখতে যাওয়া হয়েছে। সকালের ধানের মাঠ থেকে সূর্যোদয় দেখার যে আনন্দ সেটা সবসময় হয়ে ওঠে না। ঢাকার বন্দি জীবনে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য কি সবার হয়। অনেকে শুধু জীবিকা দায়ে পরে থাকে, তাদের কাছে এই আনন্দ উপভোগ করার সময় কোথায়।

                        "যার ঘরে অভাব উঁকি দেয়না তার কাছেই সৌন্দর্য বেশি ধরা দেয়,
                                 সেটা সে উপভোগ করতে জানুক আর নাই জানুক"

৪দিনে ফিরে এসেছে এই জন্য যে এসে অন্তু তার মায়ের কাছে যাবে। অন্তুর মা রুদ্রকে খুব একটা পছন্দ করে না। সবাই প্রেমের বিয়েকে ভালভাবে নিতে পারে না। হয়ত রুদ্রর বেলায় বিষয়টা যেমন ঘটেছে অন্য কারোর বেলায় ঘটনা অন্য হতে পারত। রুদ্রর মা-বাবা নেই। গ্রেজুয়েশন শেষে ১বছরের বেশি সময় ধরে চাকুরীও ছিল না। অন্তুর সাথে তার পরিবারের অনেক সমস্যাও হয়েছে। এখন সব ঠিক তবুও মনের ভেতরে দাগাটা মুছে যেতে সময় লাগবে।
অন্তুর বাবা এসে কথা বলে, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে। সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার। কিন্তু টেবিলের নিচে থেকেও ভালো উপার্জন করেছেন, নইলে কি এমনি ঢাকায় ৬তলা বিল্ডিং বানিয়েছেন। তাতে রুদ্রর কিছুই যায় আসে না। রুদ্র নিজের জীবনে ভালই আছে।

শ্বশুড়বাড়ি ২দিন কাটানোর পর নিজের বাসায় ফিরল।

-----------------------------------------



- খাবার হয়ে গেছে, আমি স্নানে গেলাম। তুমি সালাত বানাও। -অন্তু
- আমি কিন্তু সালাদে লবন দেবো। - রুদ্র
- ভুলেও না। তোমারটায় তুমি দিয়ে নিয়ো আমারটা আলাদা করে রেখে দিবা।
- হ্যাঁ আমি দুইভাবে সালাদ বানাতে পারবো না।
- আমি যে ৫ভাগে সারাদিন রান্না করি সেটা ?
- সেটা তুমি পারো বলেই, আমি পারবো না।
- তুমিও পারবে, চুপচাপ বানিয়ে ফেলো।
- ধুর ছাই কেনো যে বিয়ে করলাম।
বাথরুমের ভেতর থেকে অন্তু বলে উঠলো, আমি কিন্তু শুনেছি।

রুদ্র অপেক্ষা করছে কখন বের হবে অন্তু। অনেক কিছুই মাথার মধ্যে ঘুরছে। চিন্তা বাড়ছে।
অপেক্ষার অবসান ঘটল, অন্তুর দিকে অনেকক্ষণ অভাগার মত তাকিয়ে রইল রুদ্র। তারপর বলতে শুরু করল,
- তোমার গায়ে একটা গন্ধ আছে, সুন্দর গন্ধ।
- এখন যেটা পাচ্ছো সেটা আমার গন্ধ না, স্যান্ডেলিনার গন্ধ।
- না মানে, এখন না আমি অনেক সময়ই পাই।
- হইছে, মতলব কি?
- কিছু না। এমনি বলছি আর কি।
- আমাকে দেখে কি বাচ্চা মনে হয়?
- উঁহু। বলছিলাম কি আমরা কিন্তু এখনি বাচ্চা নিবো না।
- (ঘুরে তাকালো রুদ্রর দিকে) আমি কখন বলেছি তোমাকে বাচ্চা নেয়ার কথা?
- না মানে, বলোনি। আমার মনে হচ্ছিল তোমার সাথে এই বিষয় আলোচনা করা দরকার তাই......
- ভাল করেছো। এদিকে আসো।
- কেনো?
- আসতে বলছি আয়।
ড্রেসিং টেবিলের সামনে চেয়ারে বসা ছিল অন্তু। সামনে এলো রুদ্র।
"নিচু হও।" - অন্তু
রুদ্র নিচু হল। তার গালে একটা চুমু খেলো।
"এখন গিয়ে খাবার রেডি করো যাও, আমি চুলটা বেধেই খেতে বসবো।" - অন্তু বলল।
"আচ্ছা"।


অফিসের কাজে বিশাল চাপ যাচ্ছে রুদ্রর। এরই মাঝে অফিসে এসে হাজির পিসাতো ভাই অতুল। অতুল ছোটবেলাতে ভারতে গিয়ে পড়ালেখা করছে। ৭বছর পর রুদ্রর সাথে দেখা হল। আসলে দেখা হল না, অতুল দেখা করতে এসেছে। কেমন আজব! বিয়ের সময়ও পাওয়া যায়নি একে, ৭বছরে ৭বারও কথা হয়নি যার সাথে সে হঠাৎ করে কেন দেখা করতে আসলো?
যাই হোক এসেছে যখন তখন কথা না বলে তো আর ফিরিয়ে দেয়া যায় না।



Comments

Popular posts from this blog

তোমার জন্য একটি কবিতা, মায়াবতী

রূপ

জেলখানা ও ভালবাসার কথা