সেই চোখ




অনেক দিন অতীত হয়েছে,
আজ আবার কিছুটা সময়,
তোমার চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম।
এই সেই চোখ,
যা দেখে মনের কোনের রক্তকরবী ফুটেছিল।
তুমি আড় চোখে দেখছিলে আমায়।
আজ চোখে ছিল জল, বললে চললাম এবার।
এই সেই চোখ,
যাকে ছুয়ে দিতে ইচ্ছে করেছে বড্ড।
সূর্য স্নান, কাক ডাকা ভোর 
আর বিশালাক্ষী বিদায় তোমায়।
ভয়ার্ত তোমাকে, শান্ত করতে যে আনন্দ,
আজ তার থেকে ছুটি মলিন নিরানন্দ চেহারায়।
তোমার সেই ভাষাকে আমি নাম দিয়েছি; মায়া।
মায়া জমেনি আজ চোখের কোণায়? 
এই সেই চোখ,
যা অশ্রুসিক্ত হলে, মনে হত,
পুড়িয়ে দিয়ে বেদ-বেদান্ত, জুড়িয়ে নিবো পাপীর মন।

এখন আর তুমি কাজল পরো না?
হয়ত পড়ো, অন্য কারো মন রাঙাবার জন্য।
নয়ত রাত জেগে জেগে চোখের নিচে ফেলেছো রঙ।

তুমি আর আমি পদ্য লিখি না আর,
দুঃস্বপ্ন রাত নিদ্রা সারথী হয়ে দুজনার।
আমি এখন পর হয়ে গেছি, 
অথবা পর করে নিয়েছি নিজেই
রাতের নিয়ন আলোয় তোমায় আর ঘুড়তে ডাকি না।
কিভাবে ডাকব বলো!
শহরের সোডিয়াম বাতিগুলো সাদা কাফনের কাপড় পড়েছে।



লেখকঃ মলয় বাড়ৈ

Comments

Popular posts from this blog

তোমার জন্য একটি কবিতা, মায়াবতী

রূপ

জেলখানা ও ভালবাসার কথা